কেমন আছেন?

সন্তানের পড়াশোনায় অভিভাবকের ভূমিকা

"ভাবি, আমার বাচ্চাটা একদম পড়ে না!"

"তোমার বন্ধু এত নাম্বার পেল, তুমি কেন পেলা না!?"

"তোকে কি আমি ওর চেয়ে কম খাবার দেই!?? তুই কেন ফার্স্ট হতে পারিস না?"

এমন প্রত্যকেটি কথার মাধ্যমে আপনার সন্তানকে আপনি নিজেই হয়ত পড়াশোনা থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন; দিনকে দিন সম্পূর্ণ শিক্ষা পদ্ধতির উপর বিতৃষ্ণায় ভরিয়ে দিচ্ছেন হয়ত তার মন!

অভিভাবক হিসাবে আপনার উদ্দেশ্য কিন্তু খারাপ না! আপনি চান আপনার সন্তান পড়াশোনা করে সুপ্রতিষ্ঠিত হোক। খুবই স্বাভাবিক। কোন বাবা-মা চাইবে না!? কিন্তু আপনার চাহিদা আপনার সন্তানের উপর বোঝা বাড়িয়ে দিচ্ছে না তো?

সন্তানের পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছু ব্যাপার লক্ষনীয় -

১. পড়াশোনার জন্য চাপ সৃষ্টি করবেন না। ছোটবেলা থেকেই, খেলার পাশাপাশি, নির্দিষ্ট পড়ার সময় ঠিক করে দিন।

২. গল্পের ছলে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করুন, যাতে সে লেখাপড়ার গুরুত্ব বুঝতে পারে এবং পড়াশোনাকে ভালবাসতে পারে।

৩. নিজের বাচ্চাকে কখনোই অন্যের সাথে তুলনা করবেন না! এর ফলে শৈশবকালেই হীনমন্যতার বীজ বপন করে, আপনি নিজ সন্তানকে পিছিয়ে দিলেন!

৪. একটা ক্লাসের সবাই ফার্স্ট হবে না; আবার যে ফার্স্ট হয়, সেই যে সকল ব্যাপারে সেরা, তা কিন্তু নয়! সুস্থ প্রতিযোগিতা শিশুর জন্য উপকারী কিন্তু হিংসাত্মক মনোভাব নয়।

৫. পরীক্ষায় ভালো ফলাফল জরুরি, কিন্তু বেশি জরুরি  শিশু আনন্দ নিয়ে কতটুকু শিখছে সেটা। আগ্রহ শিশুর বিকাশের জন্য দরকার ।

৬. পড়াশোনার ব্যাপারে শিশুর মতামতকে গুরুত্ব দিন। কোন বিষয়টি পড়তে চায়, কোন সময় পড়তে চায় - এটি তার উপর চাপিয়ে না দিয়ে, রুটিন তৈরি করার সময় তাকেও অংশগ্রহণ করতে বলুন।

৭. পড়াশোনার জন্য মারধর করবেন না। এসব শিশুদের পরবর্তীতে জ্ঞানের প্রতি নেতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি হয়।

৮. সম্ভব হলে, ছোটবেলা থেকেই আপনার সন্তান যখন টেবিলে পড়তে বসবে, আপনিও হাতের কাজ নিয়ে তার সাথে টেবিলে বসুন।

৯. পড়াশোনার ক্ষেত্রে তাকে পুরস্কৃত করুন। এই উপহার হতে পারে - সময় কাটানো, বেড়ানো অথবা প্রশংসা করা।

প্রতিটি শিশু চিন্তা-ভাবনা এবং শেখার পদ্ধতি ভিন্ন। সন্তানের চিন্তা ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ অভিভাবকের কাজ নয়, বরং সঠিক চিন্তার খোরাক জোগানো তাদের কর্তব্য।

fascinated 0 Readers
informed 0 Readers
happy 1 Readers
sad 0 Readers
angry 0 Readers
amused 0 Readers

Appointment

01763438148